মোবাইল ফোনে পরিচয়, বিভিন্ন প্রলোভনে ধর্ষণ

হাটহাজারীতে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার, গ্রেফতার ১

মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে হাটহাজারীর এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে গাজীপুর থেকে এজকনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৭।

উদ্ধার কিশোরী চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন এগারো মাইল পূর্ব দেওয়ান নগর এলাকাা বাসিন্দা।

র‌্যাব-৭ সূত্র জানায়-অপহৃত কিশোরী (১১) মাদরাসা পড়ুয়া একজন ছাত্রী। তার বাবা একজন রিকশাচালক। অভাবের সংসারে মেয়ের লেখা পড়ার খরচ দিতে না পারায় ভিকটিম মাদরাসা ছেড়ে বর্তমানে তাদের বাসায় অবস্থান করছিল। গত ২২ জুন রাত ৯টার দিকে ভিকটিম তার বর্তমান ঠিকানার বাসা হতে নিখোঁজ হয়।

মা-বাবা তাদের মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে পরের দিন কিশোরীর মা বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানার নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

পরবর্তীতে ভিকটিমের মা র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি লিখিত আবেদন করে বিষয়টি অবগত করে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে, হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাঙামাটি সড়কের কুটুমবাড়ী রেস্তোরার সামনে হতে রেজাউল ইসলাম (২৮) নামের এক ব্যক্তি ভিকটিম নাবালিকা মেয়েকে বিয়েসহ বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় এবং তার বর্তমান ঠিকানা গাজীপুরের গাছা থানার বালিয়ারা ডেগেরছালা সালাম হাজীর বাড়ীর নিচ তলার একটি বাসায় বন্দি করে রাখে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব গত ২৮ জুন অভিযান পরিচালনা করে আসামি রেজাউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিমতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারসহ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব ৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে সে ভিকটিমকে অপহরণ করে এবং অসৎ উদ্দেশ্যে আটকে রেখে ও বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

গ্রেফতারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।