রাঙ্গুনিয়ায় টিসিবির পণ্য পাবে ১৩ হাজার ৬২৪ পরিবার

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সারা দেশে ১ কোটি নিম্ন-আয়ের মানুষ ভুর্তকির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাঙ্গুনিয়ায় ১৫ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার মোট ১৩ হাজার ৬২৪ পরিবার টিসিবি’র পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছে।

কোভিড পরিস্থিতিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় কমে যাওয়া ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেক্ষাপটে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়ায় ১টি পৌরসভা ও ১৫ টি ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য পাবে ১৩ হাজার ৬২৪ পরিবার। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্বাবধানে এ পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে।

এসকল পরিবারকে টিসিবি’র পণ্য কেনার জন্য দেওয়া হয়েছে একটি করে কার্ড। সকল কার্ডধারী নির্দিষ্ট উপকারভোগীদের মাঝে (২০ মার্চ) থেকে পণ্য বিক্রয় শুরু হবে। কার্ডধারীরা লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করতে পারবে ন্যায্যমূল্যে টিসিবি পণ্য। নিম্ন-আয়ের প্রতিটি পরিবার কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে রমজানের আগে একবার ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল ও ১ কেজি ছোলা পাবে। আবার রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত একই পরিমান পণ্য আরেক দফা দেওয়া হবে নির্দিষ্ট উপকারভোগী পরিবার গুলোকে।

এছাড়া, প্রত্যেকটি কার্ডধারী ৫৬০ টাকার প্যাকেজে পাবে ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৬৫ টাকা দরে ২ কেজি ডাউল ও ৫৫ টাকা দরে ২ কেজি চিনি। উপজেলার মোট ১৩ হাজার ৬২৪ পরিবারকে টিসিবি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে পৌরসভায় ২ হাজার ৮’শ ১টি, রাজানগর ইউনিয়নে ৭’শ ৬৯টি, হোসনাবাদ ইউনিয়নে ৬’শ ১টি, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নে ৫’শ ৬টি, মরিয়মনগর ইউনিয়নে ৬’শ ২টি, পারুয়া ইউনিয়নে ৫’শ ৮৫টি, পোমরা ইউনিয়নে ৮’শ ৭টি, বেতাগী ইউনিয়নে ৬’শ ৮৯টি, সরফভাটা ইউনিয়নে ৮’শ ১৬টি, শিলক ইউনিয়নে ৬’শ ১৯টি, পদুয়া ইউনিয়নে ১ হাজার ৩’শ ৪৩টি, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে ৮’শ ৬০টি, কোদালা ইউনিয়নে ৭’শ ২টি, ইসলামপুর ইউনিয়নে ৬’শ ৬৬টি, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নে ৬’শ ৪১টি, লালানগর ইউনিয়নে ৬’শ ১৭টি।

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইফতেখার ইউনুস বলেন, ‘নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ন্যায্যমূল্যে টিসিবি’র পণ্য সরবরাহে কোন অনিয়মের সুযোগ নেই।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।