শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ব্যয় নয়, বিনিয়োগ—চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাখাতে অর্থ বরাদ্দকে ব্যয় নয় বরং বিনিয়োগ মনে করি। কারণ আগামীর প্রজন্ম শিক্ষিত ও দক্ষ হয়ে উঠলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে জাতি অগ্রসর হবে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) চসিক পরিচালিত ৭টি স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।

চসিক মেয়র বলেন, আগামীর প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণে মনোযোগ দিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের একমাত্র সিটি কর্পোরেশন হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগামী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়নে জোর দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে শিক্ষাকে প্রধান খাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার।

জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মোট ১৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার এ উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে— রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনী সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় ও চরচাক্তাই সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬-তলা ভিত বিশিষ্ট একতলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ, কৃষ্ণ কুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পাথরঘাটা মেনকা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬-তলা ভিত বিশিষ্ট অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ, লামাবাজার এ এ এস সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় ও ভুলুয়ার দিঘি সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ তলা ভিত বিশিষ্ট ৬ তলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং অর্পনাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ তলার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ।

শুক্রবার সকালে রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এর পর সবগুলো স্কুলে পরিদর্শন করে উন্নয়ন কাজের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত হন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, সলিমুল্যাহ বাচ্চু, জহর লাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, রুমকি সেনগুপ্ত, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জালালুদ্দিন চৌধুরী ও নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সরকার।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।