শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দাবা প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা

দাবা শিশুদের শুধু চিন্তার গভীরতা, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, হিসাবনিকাশ ও মনোযোগ আনতেই সাহায্য করে না, এটা বাচ্চাদের নিজের দায়িত্ব নিতেও শেখায়। শিশুদের সামাজিক আচরণেও বেশ ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে দাবা। তাই শিশুদের দাবা খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে মাসব্যাপী দাবা প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার অয়োজন করে প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল জুনিয়র স্কুল।

২১ দিনব্যাপী শ্রেণী ভিত্তিক প্রথম শ্রেণী ও দ্বিতীয় শ্রেণীর দাবা প্রশিক্ষণ শেষে গত ১-৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ রাউন্ড সুইস-লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত ৫ দিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ১৮০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় প্রথম শ্রেণী থেকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় মুসাব বিন রনক ও রানার আপ মোহাম্মদ আহিল হক।

দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় মিদরার উদ্দিন এবং রানারআপ তাফহিম ওয়াফিক। এছাড়া প্রথম শ্রেণী থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে মোহাম্মদ মুহাইমিন নওশাদ, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ওবায়দুল্লাহ তিবিয়ান ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে ওয়াসি উদ্দিন আহমেদ। এবং দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে আরশ মাহির, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আব্দুল্লাহ রায়ান, তৃতীয় স্থান অধিকার করে মো: আহনাফ আফরাজ সায়ান।

প্রতিযোগিতা শেষে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে অয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ ও জয়বায় বিষয়ক দেশ বিখ্যাত সাংবাদিক সামছুদ্দিন ইলিয়াস।

শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দাবা প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা 1

প্রধান অতিথির শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য বলেন, দাবা শিশুদের মানসিক বিকাশে সহায়ক ও কৌশলী হতে শেখায়। যারা দাবা খেলে তারা স্মৃতিশক্তিতে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকে। রিডিং স্কিল উন্নত করে ও মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে দাবা খেলাকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়। আরমেনিয়াতে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ খরচ করে শিশুদের দাবা খেলায় আগ্রহী করে তোলে।

দেশের সব স্কুলে দাবা প্রতিযোগিতা আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি খেলাধুলার পাশাপাশি শিশুদের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জ্য যেখানে সেখান না ফেলার না ফেলার আহবান জানান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।