সংস্কারের পরদিনই উঠে যাচ্ছে রাস্তার কার্পেটিং!

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এমনটা ঘটছে। যদিও সংস্কার কজের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয়রা ইচ্ছে করেই এসব কার্পেটিং তুলে ফেলছেন!

স্থানীয়রা জানান, গত রোববার রাস্তাটির সংস্কার কাজের কার্পেটিং করা হয়। কিন্তু সোমবার রাত থেকে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর যোজসাজশে কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

তারা বলছেন, হাত দিলেই গুয়াপঞ্চক উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। ধূলামিশ্রিত নিম্নমানের পাথর এবং পরিমাণে কম ও নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করায় সড়কের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও তা মানা হয়নি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান ও ঠিকাদার দেবু দাশ। এ সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, ইউপি সদস্য ইলিয়াছ কাঞ্চন রুবেলসহ ঠিকাদেরর শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্নস্থানে কার্পেটিং ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এ সময় কার্পেটিং করার আগে বিটুমিনের প্রাইম কোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলেন স্থানীয়রা। কার্পেটিংয়ের ভেতরের অংশে দেখা যাওয়া কংক্রিটও নিম্নমানের বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ কিলোমিটারের সড়ক সংস্কার কাজ করছেন সাইরেদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) অধীনে নির্মাণ কাজটি তদারকি করছেন উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান।

জানতে চাইলে সাইরেদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আমরা কোথাও নিম্নমানের কাজ করিনি। কাজ শেষ হওয়ার আগে স্থানীয়রা কার্পেটিং তুলে নিয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, কার্পেটিংগুলো স্থানীয়রা হাত দিয়ে তুলে ফেলছেন। আমরা মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে তার সত্যতা পেয়েছি। আমার কাছে একটি ভিডিও রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি কার্পেটিং তুলে ফেলছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।