সমাজসেবা চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে খেলাধুলার কোনও বিকল্প নেই : বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ ও মেধামননে খেলাধুলার কোনও বিকল্প নেই। আজকের খেলোয়ারেরাই একদিন আর্ন্তজাতিক ক্রীড়াবিদ হবে। আনন্দ-বিনোদন ছাড়া কারও জীবন পরিপূর্ণ হয় না।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাজসেবার বিভাগীয় আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। জাতীয় সংগীতের সুরে সুরে জাতীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এর পর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিভাগীয় আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন। পরে তিনি কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক নুসরাত সুলতানার (উপ-সচিব) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ মারূফ।

উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা ও মোস্তাকুর রহিম খান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদুল আলম (চট্টগ্রাম), ফরিদুল আলম (কক্সবাজার), মিল্টন মুহুরী (বান্দরবান), মো. ওমর ফারুক (রাঙ্গামাটি), মো. মনিরুল ইসলাম (খাগড়াছড়ি), মো. নজরুল ইসলাম পাটোয়ারি (নোয়াখালী), সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (ফেনী), নুরুল ইসলাম পাটোয়ারি (লক্ষীপুর), জেড.এম মিজানুর রহমান (কুমিল্লা), আবদুল কাইয়ুম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), রজত শুভ্র সরকার (চাঁদপুর) ও বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ প্রমুখ।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবার কার্যালয়ের অধীন ১১ জেলার ১৮টি প্রতিষ্ঠান, সরকারী শিশু পরিবার, পিএইচটি সেন্টার, সম্মিলিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও ছোটমনি নিবাসের ৬৩৩ জন নিবাসী আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন। তিনি খেলাধুলা খুব পছন্দ করতেন। ২০’র দশকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেও খেলার কথা উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি নির্মল আনন্দ বয়ে আনবে ও পারস্পরিক সহমর্মিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।