স্থানীয় উন্নয়ন তরান্বিত করার পাশাপাশি চট্টগ্রামে জাতীয় উন্নয়নের ছোঁয়া বাড়াতে চান বাচ্চু

স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নে চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুতার সঙ্গে শেষ করা এবং জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় যাতে চট্টগ্রামের জন্য আরো বরাদ্দ আসে সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার মাঝি মহিউদ্দিন বাচ্চু।

চট্টগ্রাম খবরের সঙ্গে আলাপকালে চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন—চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা নিজের হাতেই তুলে নিয়েছেন। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, পুরো শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়নে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। চট্টগ্রামে মেট্রো রেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের রাজনীতির ভাগ চট্টগ্রাম যাতে আরও বেশী পায় সেই চেষ্টা থাকবে।

বাচ্চু বলেন—চট্টগ্রামের মাটির সন্তান এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। যার শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখনও প্রসঙ্গক্রমে এই বীরকে স্মরণ করেন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর চট্টগ্রাম নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আলাদা সুনজর রয়েছে। মূলত আমি সেই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাই।

নিজের রাজনৈতিক সংগ্রাম নিয়ে মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন—চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে আমার শুরু। দীর্ঘ সময় যুবলীগের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়েছি। রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি চট্টগ্রামের গণমানুষের স্বার্থে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সংগ্রামে শামিল হয়েছি। মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনৈতিক আদর্শ ছিল মানুষের সেবা করা এবং এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। আমরাও তাঁর আদর্শ চর্চায় বড় হয়েছি। জনসেবা এবং উন্নয়নকে নিজের রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছি।

স্থানীয় উন্নয়ন তরান্বিত করার পাশাপাশি চট্টগ্রামে জাতীয় উন্নয়নের ছোঁয়া বাড়াতে চান বাচ্চু 1

এলাকার সমস্যা—সম্ভাবনা নিয়ে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনে কী কী উন্নয়ন কাজ চলমান আছে, আর কী কী করতে হবে এ নিয়ে একটি টিম কাজ করছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে যতটুকু পারা যায় তা সম্পন্ন করে দীর্ঘ মেয়াদী একটি পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হচ্ছে। আমি নির্বাচত হলে তা মহান জাতীয় সংসদে উত্থাপন করবো। আমি চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনের একজন ভোটার। প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় আমি এখানে কাজ করছি। সব কিছু আমার চেনা-জানা আছে বলেই দল আমার ওপর আস্থা রেখেছে। জনসেবার মাধ্যমে আমি আস্থার সর্বোচ্চ মর্যাদা দেবো।

গত ২ জুন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমিনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৩০ জুলাই। এই আসন থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ২৯ জন। সবাইকে পিছনে ফেলে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু।

জয়ের ব্যাপারে শতভাগ প্রত্যয়ী বাচ্চু বলেন, আমার বেড়ে ওঠা এই অঞ্চলের সকল মানুষের প্রতি আমার আস্থা আছে। ভোটারগণ আগামী ৩০ জুলাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন ইনশাআল্লাহ।

স্থানীয় উন্নয়ন তরান্বিত করার পাশাপাশি চট্টগ্রামে জাতীয় উন্নয়নের ছোঁয়া বাড়াতে চান বাচ্চু 2

মহিউদ্দিন বাচ্চুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় আশির দশকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে। ইউনিট ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, থানা এবং নগর ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আলোচনায় আসেন সরকারী হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। ছাত্ররাজনীতিতে তিনি নগর ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৩ সালের শেষ দিকে যোগ দেন যুবলীগে।

২০০৩ সালে নগর যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়কের দায়িত্ব পান ছাত্রলীগের সোনালী ফসল মহিউদ্দিন বাচ্চু। তারপর ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক হন। ২০২২ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই দায়িত্ব ছেড়ে তিনি চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্যপদ গ্রহণ করেন।

যুবলীগের রাজনীতি ছেড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরুর বছর খানেকের মাথায় সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন। বাচ্চুর জন্য দলের সবাই এক যোগে মাঠে কাজ করছেন। সবার প্রত্যাশা ৩০ জুলাই বিজয়ের মাধ্যমে মহিউদ্দিন বাচ্চু সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।