২১ আগস্ট বাঙালির ইতিহাসে ১৫ আগস্টের মতোই কালো অধ্যায়

২১ আগস্ট ২০০৪ সালে বাঙালির ইতিহাসে ১৫ই আগস্টের মতো আরেকটি কালো অধ্যায়। সেই দিন বঙ্গবন্ধুর মতোই হত্যা করতে চেয়েছিল তারই কন্যা স্বাধীন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক গণতন্ত্রের মানসকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে।

২১ আগস্ট বাঙালির ইতিহাসে ১৫ আগস্টের মতোই কালো অধ্যায় 1
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত মো. জাহাঙ্গীল আলমকে হাসপাতালে দেখতে যান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। জাহাঙ্গীর আলম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে নেত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে কৃতজ্ঞতা জানান

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তৎকালীন জামায়াত-বিএনপি’র সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দেশব্যাপী বোমা হামলার বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ স্থলে স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাসীদের ছুঁড়ে মারা গ্রেনেড ও গুলিতে চেষ্টা ছিল চিরদিনের জন্য বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে চিরতরে মুছে ফেলতে।
মুছে ফেলতে চেয়েছিল গণতন্ত্র রক্ষা ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী এবং সাধারণ জনগণকে।

আল্লাহর অশেষ রহমতে জনগণের ভালোবাসা ও দোয়ায় এবং নেতাকর্মীদের জীবন উৎসর্গের কারণে বেঁচে গেলেন প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

সেইদিনের বিভীষিকাময় হামলায় চলে গেলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী এবং সাধারন জনগন।
বেঁচে গেলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টার কন্যা বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেলসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী আমাদের বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা।

সেই দিন আল্লাহর রহমতে এবং মানুষের দোয়ায় প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে জীবিত ফিরে আসতে পেরেছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত রেখে নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও সোনাইমুড়ী বাসীর জন্য উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে সক্ষম হয়েছি।

সবাই বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক-প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ভিকটিম

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।