গিটারের সুরের মূর্ছনায় কোটি ভক্তদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন গিটার জাদুকর আইয়ুব বাচ্চু। এ কিংবদন্তিকে হারানোর ছয় বছর আজ। ২০১৮ সালে আজকের এদিনে ভক্ত-অনুরাগীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি।
১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল সোলস ছেড়ে ‘এলআরবি’ গড়ে তুলেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব তিনি। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। কিশোর বয়সে পশ্চিমা সংগীতের প্রেমে পড়েন তিনি। ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামে কলেজজীবনে সহপাঠী বন্ধুদের নিয়ে তিনি একটি ব্যান্ডদল গড়ে তোলেন। নাম ছিল ‘গোল্ডেন বয়েজ’। পরে নাম বদলে রাখা হয় ‘আগলি বয়েজ’। সেই ব্যান্ডের গায়ক ছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ এবং বাচ্চু ছিলেন গিটারিস্ট। বিয়েবাড়ি, জন্মদিন আর নানা অনুষ্ঠানে গান করত তাদের এই ব্যান্ড। চার দশকের গায়কী জীবনে ১২টি ব্যান্ড, ১৬টি একক ও বহু মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর। তার উল্লেখযোগ্য অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে, সুখ, তবুও, ঘুমন্ত শহরে, স্বপ্ন, আমাদের বিস্ময় (ডাবল অ্যালবাম), মন চাইলে মন পাবে, অচেনা জীবন, মনে আছে নাকি নাই, স্পর্শ, যুদ্ধ। এ ছাড়া একক শিল্পী হিসেবে তার অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে রক্ত গোলাপ, ময়না, কষ্ট, সময়, একা, প্রেম তুমি কী!, দুটি মন, কাফেলা, প্রেম প্রেমের মতো, পথের গান, ভাটির টানে মাটির গানে, জীবন, সাউন্ড অব সাইলেন্স, রিমঝিম বৃষ্টি, বলিনি কখনো, জীবনের গল্প।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া সেই তুমি, কষ্ট পেতে ভালোবাসি, এখন অনেক রাত, মেয়ে, কেউ সুখী নয়, হাসতে দেখো গাইতে দেখো, এক আকাশের তারা গানগুলো আজও শ্রোতাদের মুখে মুখে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।