ইভটিজার আটকের জেরে তুলকালাম! ভাংচুরের পর থানায় মামলা

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দুই ইভটিজারকে আটকের জেরে উপজেলার ২ নম্বর ধলই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। হাটহাজারী কাটিরহাট-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক করা হয়েছে অবরোধ। সাথে ওই ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখে ইভটিজারদের পক্ষের লোকজন।

গত সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে উক্ত ইউপি কার্যালয়ে এই হামলা, ভাংচুর ও মহাসড়ক অবরোধের ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রেমিক-প্রেমিকা মনে করে আপন ভাই বোনের উপর হামলা চালায় মেহেদী ও সাকিব নামের দুই বখাটে ইভটিজার। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাদের বাবা মো. খোরশেদ আলম কেও ইভটিজাররা মারধর করে। উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে টহল পুলিশ সদস্যরা ওই ইভটিজারদের আটক করে ২ নম্বর ধলই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে ইভটিজারদের সাথে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীরা হামলা চালিয়ে ইউপি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় ওই সময় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল মনসুরকে আধা ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তাঁর উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ঘটনাটিতে মো. রুস্তম (৩৫) নামে এক পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) আহত হয়। তাছাড়া, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক পৌনে এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে ধলই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল মনসুর বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা, বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভাংচুর করা ও আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনে গতকাল রাতে হাটহাজারী মডেল থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছি। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৮০/৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ বলেন, ধলই ইউনিয়নের এনায়েতপুর এলাকায় ইভটিজারদের দ্বারা মারধরের শিকার হয় আপন দুই ভাই বোন ও তাদের বাবা। ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ইভটিজারদের আটক করে ২ নম্বর ধলই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, পরে ইভটিজারদের পক্ষে বিক্ষুব্ধরা ইউপি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে আমাদের পুলিশ সদস্য একজন আহত হয়েছে। তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে। থানা থেকে আরো ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ঘটনাটিতে যারা জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।