এনআইডি জালিয়াতি—৫ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরসহ গোয়েন্দা জালে ১০

মিয়ানমারের নাগরিক কামাল হোসেন ও পারভীন আক্তারসহ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াত চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ। চক্রটি টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে সহায়তা করে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন নির্বাচন কমিশনের সাথে চুক্তিবদ্ধ ডাটা এট্রি অপারেটরও রয়েছেন।

দুই রোহিঙ্গা ছাড়া আটককৃত অপর আট ব্যক্তি হলেন- নুরুল আবছার, শামসুর রহমান (শামসু মাস্টার) ওরফে সোনামিয়া, ইয়াছিন আরাফাত, নুর নবী অনিক, মিজানুর রহমান, ফরহাদুল ইসলাম, ইমন দাশ ও মো. কামাল। এদের মধ্যে শামসুর রহমান ওরফে সোনামিয়া কক্সবাজার পোকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালে রোহিঙ্গাদের এনআইডি তৈরির কাজে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চাকুরিচ্যুত হন।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (পশ্চিম) উপ-কমিশনার আলী হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শামসুর রহমান সোনামিয়ার বিরুদ্ধে এনআইডি জালিয়াতির একটি মামলা কক্সবাজার সদর থানায় অপর একটি মামলা দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২এ চলমান আছে।

তিনি আরও বলেন, আটক ইয়াছিন আরাফাত, নুর নবী অনিক, মিজানুর রহমান, ফরহাদুল ইসলাম, ইমন দাশ নির্বাচন কমিশনের চুক্তিভিত্তিক ডাটা এট্রি অপারেটর। শামসু মাস্টার রোহিঙ্গা সংগ্রহ করে নুরুল আবছারের কাছে নিয়ে আসতো। নুরুল আবছার ডাটা এট্রি অপারেটরদের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের এনআইডি পেয়ে দিতো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চক্রের আরও সদস্য রয়েছে নগর গোয়েন্দা টিম তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নগরীর হালিশহর বি-ব্লকের হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।