সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হয়ে চৌধুরী রাসেল ছুটে বেড়িয়েছেন শহর থেকে গ্রামে। তুলে এনেছিলেন জনদুর্ভোগ, নানা সংকটের চিত্র। কিন্তু অল্প বয়সে তার মৃত্যু অপূরণীয় এক ক্ষতি। তিনি চলে গেলেও বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘চন্দনাইশ মিডিয়া ক্লাব—চট্টগ্রাম’ আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, তরুণ সাংবাদিক হিসাবে রাসেল মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। সবার কাছে খুব দ্রুতই নিজেকে পরিচিত করেছিলেন। সবার মন জয় করতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু অল্প বয়সেই নানা ফেরার দেশে পাড়ি দিতে হয়েছে রাসেলকে।
আমরা মনে করি, রাসেল আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন আজীবন। রাসেলের ভালো কাজগুলো আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে। চৌধুরী রাসেলের সবচেয়ে বড় গুণ ছিল তিনি ভালো মনের মানুষ ছিলেন। অহংকার ছিল না, সবার পাশে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতেন। আমরা রাসেলকে স্মরণ করবো। রাসেলের জন্য দোয়া করবো।
চন্দনাইশ মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি জামসেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমএ হোসাইনের সঞ্চালনায় শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম—১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনের চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট জসীম চৌধুরী সবুজ, দৈনিক প্রতিদিনের ডেপুটি সম্পাদক কাজী আবুল মনসুর, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, কবি ও প্রাবন্ধিক অভীক ওসমান, চন্দনাইশ সমিতির সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সিপ্লাস টিভির এডিটর ইন চিফ আলমগীর অপু, চন্দনাইশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান।
রাসেলের পরিবারের পক্ষে ভগ্নিপতি জামাল হোসেন ও বড় ভাই আবদুল্লাহ সুমন চৌধুরী রুবেল বক্তব্য রাখেন। শোকসভায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ক্বারী আমান উল্লাহ দৌলত।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।