নোমানেরও অগ্রাধিকার কালুরঘাট সেতু

চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের আগের দুই সদস্যের মতো উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদও কালুরঘাট সেতুকে অগ্রাধিকার দিবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজে নিয়েছেন। কালুরঘাট সেতু জনগণের দাবি। এই উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সবাই অবগত আছেন। অল্প সময় সেবা করার যতটুকু সুযোগ পাবো তাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু উন্নয়ন কাজ করতে চাই।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম-৮ উপ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদের পরিকল্পনা ও ভাবনা শীর্ষক’ এক সংবাদ সম্মেলনে তিন এসব বলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে নৌকার প্রার্থীর প্রধান নির্বাচন এজেন্ট এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সংবাদ সম্মেলনে নোমান আল মাহমুদ নগরীর চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও বায়েজিদ ও বোয়ালখালীর নানা উন্নয়নসহ ১৯ দফা নির্বাচনী পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

নগর কেন্দ্রিক নোমান আল মাহমুদের উন্নয়ন পরিকল্পা হলো—
কালুরঘাট সেতু প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে অধিভুক্ত করে দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া। বেতার কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত বাস টার্মিনাল শাহ আমানত সেতুর কাছে স্থানান্তর করে শেখ রাসেলের নামে একটি শিশু কিশোরদের খেলার মাঠ বা স্টেডিয়াম গড়ে তোলা। প্রকল্পের (টিআর, কাবিখা) জন্য পাওয়া বরাদ্দ অপচয় না করে রাস্তাঘাট সংস্কার, মসজিদ-মন্দির, গীর্জা বা অন্যান্য উপাসনালয় সংস্কার, কবরস্থানে মাটি ভরাট ইত্যাদি খাতে ব্যয় করা।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবন নির্মাণ-সংস্কার ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের সেবা নিশ্চিত করা। নির্বাচনী এলাকার মাদকদ্রব্যের বিস্তার ও কিশোর গ্যাং কালচারে নতুন প্রজন্ম যাতে বিপথে না যায় সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা। নগরের চান্দগাঁও ও বোয়ালখালী এলাকার যানজট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া। নির্বাচনী এলাকার যেখানে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহের সুযোগ রয়েছে সেখানে সুপেয় পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া। কালুরঘাট সেতু থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে এই অঞ্চলকে সুরক্ষার উদ্যোগ নেওয়া। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কাজ করা।

বোয়ালখালী নিয়ে তার উন্নয়ন পরিকল্পনা হলো—
চরণদ্বীপ, কধুরখিল, শ্রীপুর হরণদ্বীপ, চরখিজিরপুর, পশ্চিম গোমদণ্ডিসহ আরও কিছু এলাকায় নদী ভাঙন রোধে চলমান প্রকল্পের তদারকির পাশাপাশি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন। বোয়ালখালী এলাকার রাস্তাঘাটের সংস্কার ও কিছু বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা। বোয়ালখালী পৌরসভার এলাকায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা। বোয়ালখালীতে শেখ রাসেল স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ। বোয়ালখালীতে একটি টেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রান্তিক মানুষের জন্য চলমান প্রকল্পের বিস্তৃতি বাড়ানো ও তদারকি করা। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রাপ্তির চেষ্টা করা। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে আধুনিকায়ন করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। বোয়ালখালীর করলডাঙ্গা পাহাড় সংলগ্ন বিস্তৃত এলাকায় একটি ইপিজেড নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। বিদ্যুতের অপচয় রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সোলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।