বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত করার পর দলের মধ্যে তৈরি হয় নানা বিতর্ক। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে নানা আলোচনা ও সমালোচনার পর অবশেষে সেই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
রোববার (২৪ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান কমিটি বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষিত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মলনে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র মুজিবুর রহমান, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের ভোটে আসাদুজ্জামান চৌধুরী সভাপতি ও বেলাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু এরপরই আসাদুজ্জামান চৌধুরীর দলীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ফেসবুকেও উঠে সমালোচনার ঝড়।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশন কাউন্সিল শুরুর সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান কাউন্সিলে সভাপতি-সম্পাদক প্রার্থীদের দলীয় স্লোগান দিতে বলেন। কিন্তু স্লোগান দিতে ব্যর্থ হন বিএনপি নেতা মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী। এটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার ইন্ধনে কাজটি করা হয়েছে। দলের ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রার্থী খানে আলম বলেন, আসাদুজ্জামান চৌধুরী পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরও ছিলেন না। কিন্তু চকরিয়া আওয়ামী লীগের ‘বড়’ এক নেতার আশীর্বাদে তিনি সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন। সম্মেলনে দলীয় স্লোগান দিতে বলা হলে আসাদুজ্জামান তাতে ব্যর্থ হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে ওই কমিটিতে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক। ফলে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে বিতর্কিত কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
এমএফ
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।