৪র্থ স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী সোহান ওঠেন ৩য় স্ত্রীর বাসায়!

লাশভর্তি ড্রাম কর্মস্থলের গুদামে রেখে ২ দিন অফিসও করেন স্বামী

কনস্ট্রাকশন ফার্মের কর্মচারী সোহানুর রহমান। মাত্র ২২ বছর বয়সে করেছেন ৪টি বিয়ে। এই বয়সেই তিনি ৪র্থ স্ত্রীকে মেরে ড্রামে ভরে নিজ কর্মস্থলের গুদামে রেখে করেছে অফিসও। অফিস থেকে নিজের নানি মারা যাওয়ার অযুহাতে ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে দুই সহযোগীকে নিয়ে লাশটি ফেলে যান পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায়। গিয়ে ওঠেন ঢাকা সাভারে তার তৃতীয় স্ত্রীর বাসায়।

পুলিশ অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত করে খুনে অভিযুক্ত স্বামী সোহানুরকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ আশিক ও লিটন। লিটন সিএনজি চালক। তিন হাজার টাকা ভাড়ায় সে সোহানকে সহযোগিতা করেছে।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, দুই মাস আগে আতিয়াকে বিয়ে করেন সোহানুর। এটি ছিল তার চতুর্থ বিয়ে, আতিয়া সম্পর্কে তার মামাতো বোন। বিয়ের পর তারা পতেঙ্গা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে স্ত্রী সোহানের সঙ্গে ঝগড়া করে। সেই ঝগড়ার জেরে সোহানুর ক্ষিপ্ত হয়ে ১১ অক্টোবর রাতে আতিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

তিনি আরও জানান, শ্বাসরোধে স্ত্রী আতিয়াকে হত্যার পর লাশ ড্রামে ভরেন। পরদিন লাশভর্তি ড্রামটি সোহান নিজের কর্মস্থলের গুদামে নিয়ে যায়। গুদামে ড্রামটি রেখে দুই দিন অফিসও করে। নিজের নানী মারা গেছে বলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি যায়। বাড়ি যাওয়ার কথা বলে ড্রামটি রাস্তার ধারে ফেলে দেয়। তাকে এই কাজে তিনজন সহযোগিতা করেছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করেছি।

গ্রেপ্তারের পর সোহান স্বীকার করেছে তার তৃতীয় স্ত্রী রাজধানীর সাভার থাকে। আতিয়াকে হত্যার পর সে সাভার গিয়ে ওঠে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।