অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ৮ মামলার আসামি ধামা জুয়েল গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ জুয়েল প্রকাশ হামকা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। জুয়েল অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং তার বিরুদ্ধে আটটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

জুয়েলকে অনেকে ধামা জুয়েল নামেও চিনে। চান্দগাঁও থানার কসাইপাড়ার জয়নাল আবেদীন জুনুর ছেলে অপর ছেলে রাজুকে হামকা রাজু নামে চিনে। রাজু-জুয়েল সহোদর এলাকায় দীর্ঘদিন আতঙ্কের নাম।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) জুয়েলের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার। তিনি বলেন, কয়েক বছর পূর্বেও দুই ভাই বাদশা রাজু ও জুয়েল চাপাতি হাতে এলাকায় মাংস বিক্রি করতেন। পরবর্তীতে চাপাতির বদলে হাতে পিস্তল তুলে নিয়ে দুই ভাইয়ের নাম এখন হামকা রাজু ও ধামা জুয়েল। তারা এখন এলাকার ত্রাস, পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়ও তাদের নাম রয়েছে। অস্ত্র, মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু সন্ত্রাসী কার্যক্রম নয়, কিশোর গ্যাং তৈরিতেও রয়েছে তার একচ্ছত্র নেতৃত্ব। ধামা জুয়েল নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় একটি ছিনতাইতারী চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করাসহ চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় সে সবসময় সক্রিয়। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করেন। এছাড়াও বারাই পাড়া এলাকার আনোয়ার নামে এক গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেছিল ধামা জুয়েল ও তার সহযোগীরা। হক মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড আব্দুর সবুর, কিশোর জিয়াদ ও নুরুল আলম হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল। চাঁদার জন্য আমজাদ হোসেন নামে এক যুবকের দুই পায়ে ড্রিল মেশিনে ছিদ্র করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ধামা জুয়েলের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, ভয়ংকর ‘হামকা গ্রুপের প্রধান হামকা রাজু’র ভাই ধামা জুয়েল ইতোপূর্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। সম্প্রতি জুয়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা প্রদান করে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেপ্তারকৃত এই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।