ঋণ খেলাপি মোহাম্মদ আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ইমাম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ৫ মাসের দেওয়ানী দণ্ডাদেশ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৮৬ কোটি খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত এই আদেশ দেন।

রোববার (১৪ মে) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন বলে চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাননীয় আদালত ঋণ খেলাপি মোহাম্মদ আলী ও তার ছেলে আলী ইমামের বিরুদ্ধে পাঁচ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশ দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মোহাম্মদ আলী একসময় ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এনসিসি) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। এই পদ ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। ব্যাংকে তার শেয়ার ২ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়া এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ খেলাপি হওয়ায় তাকে এনসিসি বোর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংকের অর্ধশত মামলা আছে বলে জানা গেছে।

মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও ছেলে আলী ইমাম পালাতে পারেননি। আইএফআইসি ব্যাংকে ৬১ কোটি তিন লাখ ৩১ হাজার ৬২৩ টাকা খেলাপী ঋণ আদায়ে ব্যাংক মামলা করলে চট্টগ্রাম অর্ধঋণ আদালত তাদের তিনজনের পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দেন। মা-বাপ পালিয়ে গেলেও আটকে পড়া ঋণ খেলাপী আলী ইমাম এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন।
সেই রিট শুনানি শেষে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ঋণ খেলাপীদের দেশত্যাগে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে রায় প্রদান করেছেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়-ব্যাংক যে ঋণ প্রদান করে তা হল জনগণের আমাণতের টাকা। জনস্বার্থ রক্ষা করার প্রয়োজনে ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থঋণ আদালত আইনের ৫৭ ধারা মোতাবেক ঋণ খেলাপীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে পারবে অর্ধঋণ আদালত।

ঋণ খেলাপি ইমাম গ্রুপের কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেসা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।