কথা রেখেছেন জেলা প্রশাসক, বন্ধ হলো ডলুর বালুমহাল-৪’র ইজারা প্রক্রিয়া

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ডলু নদীর ভাঙন থেকে দুপাড়ের মানুষকে রক্ষায় কথা রেখেছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বালুমহাল ৪ ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) চট্টগ্রাম খবরের হাতে আসা জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত ২২ মার্চের একটি অফিস আদেশে তিনি ডলুর বলুমহাল ৪ ইজারা কার্যক্রম থেকে বাদ দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক তাঁর অফিস আদেশে উল্লেখ করেন- ‘সাতকানিয়া উপজেলার ডলু বালমহাল-৪, চলতি বছর তথা ১৪৩০ বাংলা সনের ইজারা কার্যক্রম হতে বাদ দেয়া হলো। দরপত্রের অন্যান্য বিষয়াদি অপরিবর্তিত থাকবে।’

এই খবরে সাতকানিয়া ডলু পাড়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে। কারণ, ডলু নদীর ভাঙনের মুখে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বালুমহাল ৩ ও ৪। সম্প্রতি বালুমহাল ৪ ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এতে আবারও ভাঙনের শঙ্কায় এলাকাবাসী অবিলম্বে জনবিরোধী এ সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ও বিতর্কিত বালুমহাল ইজারা প্রক্রিয়া দ্রুত বন্ধ চান। এ বিষয়ে একাধিক লিখিত আবেদন করা হয়েছে জেলা প্রশাসকের কাছে। চট্টগ্রাম খবর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রচার করে। একই সাথে দেশের স্বনামধন্য অনেক গণমাধ্যম বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।

গত ২১ মার্চ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ করিম বলেছিলেন, আমরা অনেক বালুমহালের ইজারা বন্ধ রেখেছি। জেলা প্রশাসন কোন বালুমহাল ইজারা দেবে কোন মহাল ইজারা দিবে না তা ঠিক করে না। উপজেলা প্রশাসনের সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ইজারা প্রক্রিয়া শুরু এবং সম্পন্ন করে। তবু বিষয়টি নিয়ে যেহেতু আপত্তি ওঠেছে তা আমাদের বিবেচনায় থাকবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা গত বছর সরেজমিনে ডলু নদীর ভাঙন দেখতে গিয়ে বলেন, ডলু নদীর ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে যদি অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালি তোলা বন্ধ হয়। এজন্য এলাকাবাসীর সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। কারণ বাইরের কেউ এসে এখানে বালি তোলেন না। যে বা যারা তুলছে তারা স্থানীয়। তাদের প্রতিহত করা গেলে ভাঙনের ব্যাপকতা কমবে। রক্ষা পাবে বাপ-দাদার ভিটে। কাজ করা যাবে ভাঙনরোধে এবং তা হবে টেকসই।

স্থানীয়দের প্রত্যাশা, ডলু পাড়ের মানুষের জান-মাল রক্ষায় ডলু বালুমহাল-৪ এর ইজারা থেকে জেলা প্রশাসন সরে আসবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।