ঘূর্ণিঝড় মোখার গর্জনে উত্তাল সমুদ্র—তীরে হাজারো পর্যটক!

প্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুরো দেশ। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নেওয়া হয়েছে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, শুকনো খাবারের জোগান, নগদ অর্থ বরাদ্দ, সময়ে সময়ে তথ্য সরবরাহ সবই করছে প্রশাসন। তবে এসবের কোন কিছুই যেন থামাতে পারছেনা সাধারণ মানুষদের। ৪ নম্বর সংকেতের মধ্যেও ছুটির দিনে কক্সবাজারে ঢল নেমেছে পর্যটকের।

শুক্রবার (১২ মে) ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত এ ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে ধেয়ে আসছে। বেলা পৌনে ৩টার দিকে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। এ অবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকা যেহেতু কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনমুখী। তাই কক্সবাজারসহ সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঝুঁকিতে রয়েছে। এজন্যই সেন্টমার্টিনের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি সেন্টমার্টিন থেকে বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা ও পর্যটকদের ইতোমধ্যে সরিয়ে এনেছি আমরা।

তবে প্রশাসনের এত এত প্রস্তুতি-সতর্কতার মাঝেও থামিয়ে রাখা যাচ্ছে অতি উৎসাহী পর্যটকদের। সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্রের পানিতে নেমে গাঁ ভিজাচ্ছেন হাজার হাজার পর্যটক। কেউ বা আবার সৈকতের তীরে হেঁটে হেঁটে সেলফি তুলছেন। বীচে ফুটবলও খেলছেন অনেকে। মোটামুটি সাধারণ দিনে যা যা হয় সবই পরিলক্ষিত হয়েছে মোখার গর্জনে উত্তাল হয়ে থাকা সমুদ্রের পাড়ে।

পর্যটকরা বলছেন, ছুটির দিন তাই পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছেন তারা। তাদের মতে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার খবর শুনা গেলেও সৈকতের পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তাই তেমন ভয় লাগছেনা বলে জানান অধিকাংশ পর্যটক।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, মোকা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের পরিবেশ-পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সাগর শান্ত আছে। গোসলে নেমে কোনো পর্যটক যেন বিপদে না পড়েন সেজন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে বালুচরে একাধিক লাল নিশানা উড়ানো হচ্ছে। চলছে ঘূর্ণিঝড় ও সতর্কতা নিয়ে প্রচার।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।