দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ফিরোজ খানকে কর্ণফুলী গ্যাস থেকে সরালো সরকার

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও বর্তমান কোম্পানি সচিব পদে কর্মরত বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) মহাব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ খানকে ‘কাজের স্বার্থে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী লিমিটিড (পিজিসিএল) নলকায় ওএসডি করে, সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ মাজেদকে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পেট্রোবাংলায় সংযুক্ত করার মাত্র তিন দিন পর ফিরোজ খানকে কেজিডিসিএল থেকে সরানো হলো।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) রনজিত কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানা গেছে। আদেশে উল্লেখ করা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ও অনুমোদনক্রমে জারিকৃত এ আদেশে অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ফিরোজ খান কর্ণফুলী গ্যাসে ২০১৬ সালে উপ-ব্যবস্থাপক (কারিগরি) পদে নিয়োগ কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগে কর্ণফুলী গ্যাসের সার্ভিস রুলস, পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অমান্য করে অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সাবেক এমডি আইয়ূব খান চৌধুরী বড় ছেলে আশেক উল্লাহসহ আরও ৭ জন থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নানা অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কেজিডিসিএলের নামে ১০৪ কোটি টাকার ভূমি ক্রয়ে মূল্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুমোদন না নিয়ে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার পরিশোধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফিরোজ খান, বিভাগীয় মামলায় প্রকৌশলী আমির হামজাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং পরবর্তীতে পদাবনতি, প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর বেআইনীভাবে গুরুদন্ড প্রদান এবং প্রকৌশলী নিয়ামুল কবিরকে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চাকুরিচ্যুত করেছেন। যা উচ্চ আদালত কর্তৃক বেআইনী ঘোষনা করা হয়েছে।

২০১১ সালে সাবেক এমডি ছেলে মহিউদ্দিনের অর্নাস পাশের সনদ জালিয়াতি করে চাকরিতে যোগদান, পরবর্তীতে ২০১৭ সালে উপ-ব্যবস্থাপক (সাধারণ), পদে ৬ষ্ট গ্রেডে অবৈধভাবে পদোন্নতি প্রদান এবং এর আগে অবৈধভাবে ২০১১ সালে সহকারী ব্যবস্থাপক (সাধারণ) পদে মহিউদ্দিনসহ অন্যান্যদের নিয়োগের নথি গায়েবের অভিযোগও আছে ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।