চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ফকিরাখালী গ্রামের দুবাই প্রবাসী আব্দুল মালেক। ছেলে ইফতেখার মালিকুল মাশফিকে (৭) কুরআনে হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলতে ভর্তি করিয়েছিলেন আল্লামা শাহ অছিউর রহমান হেফজখানা। কিন্তু ঘাতক তার সেই সন্তানের গলায় ছুরি বসিয়ে বুকের ধন কেড়ে নিয়ে শেষ করে দিলো সেই স্বপ্নও।
শনিবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় হেফজখানার স্টোর রুম থেকে মাশফির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম।
ওসি আবদুল করিম বলেন, দীর্ঘ চেষ্টার পর আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ঘটনাটি খুবই লোমহর্ষক। লাশের সুরতহাল করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদ্রাসার পরিচালক শাহজাদা শেখ মো. সানাউল্লাহ জানান, সকালে সবার সঙ্গে ফজরের নামাজ পড়েছে মাশফি। এরপর সে ছবকও নিয়েছে। কিন্তু মাশফি যখন ৭টার দিকে নাস্তা করতে যায়, তারপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজতে শিক্ষার্থীরা হেফজখানার দুইতলায় গেলে ওখানে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ রফিক বলেন, হেফজখানার এক ছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের খবর পেয়েছি। এ খবর জানাজানি হলে এলাকার লোকজন মাদ্রাসা ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মাশফির স্বজনরা জানান, সকালে মাদরাসার এক শিক্ষক মাশফিদের বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। এ খবর দিয়েই দ্রুত তিনি তাদের বাড়ি ত্যাগ করেন। পরে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুপুর ১২ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রাশিদুল হক। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশুটিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে সেটা আমরা দ্রুত উদঘাটন করে আইনী ব্যবস্থা নেবো।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।