প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ের প্রলোভনে ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ ধর্ষণ, যুবক আটক

প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকা থেকে বিপ্লব চাকমা (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।

রোববার (২৬ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার। আটককৃত আসামি রাঙামাটির বাঘাইছড়ির দোখাইয়া গ্রামের নির্মল কান্তি চাকমার ছেলে। তিনি নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থান করছিলেন।।

র‌্যাব জানায়, ভুক্তভোগী এবং আসামি রাঙ্গামাটি জেলার কোতয়ালী থানাধীন টিএন্ডটি এলাকায় পাশাপাশি ভাড়া বাসায় বসবাস করত। ২০১৮ সালে তাদের পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে অসামী বিপ্লব ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ভিকটিমকে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় এবং সেখানে ভিকটিমকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে খুব শিঘ্রই বিবাহ করবে এ আশ্বাস দিয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে এবং বিপ্লব তার কর্মস্থল চট্টগ্রামে চলে আসে।

র‌্যাব আরও জানায়, ২০২১ সালের গত ১৫ ডিসেম্বর বিপ্লব ভুক্তভোগীকে কোর্ট ম্যারেজ সম্পাদন করার কথা বলে বাঘাইছড়ি হতে রাঙ্গামাটি আসতে বলে। ভুক্তভোগী সরল বিশ্বাসে রাঙ্গামাটি চলে আসে এবং তারা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে যৌথ হলফনামা সম্পাদন পূর্বক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর বিপ্লব একটি ভাড়া বাসায় ভিকটিমকে নিয়ে যায় এবং সেখানে তারা স্বামী- স্ত্রী রুপে বসবাস করে। বিপ্লব শিঘ্রই ভিকটিমকে সামাজিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন করে চট্টগ্রামে তার বাসায় নিয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়ে তার কর্মস্থলে চলে আসে। এরপর বেশ কিছুদিন বিপ্লব মোবাইলে ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ রাখলেও পরবর্তীতে এক সময় যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

২০২২ সালের গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিপ্লব ভুক্তভোগীকে মোবাইল ফোনে যৌথ হলফনামা সম্পাদন পূর্বক বিবাহ করার কথা অস্বীকার করে এবং এবং তাকে সামাজিকভাবে বিবাহ করবে না বলে জানায়। এরপর ভিকটিম আসামীর সাথে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হওয়ায় বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করে কিন্তু বিপ্লব সালিশে হাজির না হয়ে পলাতক থাকায় কোন সমাধান হয়নি।

এ ঘটনায় ঘটনার সুবিচার পাওয়ার আশায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে আসামিকে আটক করে র‌্যাব।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবছার বলেন, মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।