বাংলাদেশি জাহাজ সোমালিয়ান জলদস্যূদের নিয়ন্ত্রণে, মালিক কেএসআরএম

ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামক জাহাজটি দখল করে নিয়েছে জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ২৩ জন ক্রু থাকার কথা।
জানা গেছে, জাহাজটিতে প্রায় ৫০ জন সশস্ত্র জলদস্যু অবস্থান করছে। ক্রু সদস্যদের মধ্যে বাংলাদেশ মেরিন অ্যাকাডেমির (বিএমএ) সাতজন প্রাক্তন ক্যাডেট রয়েছেন।
তারা হলেন জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার মো. তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসেন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন ও ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান।

বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেছেন কেএসআরএম’র মিডিয়া এডভাইজর মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাওয়ার পথে আক্রমণের শিকার হয়েছে। সোমালি জলদস্যুরা তাদের নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে। দুইদিন আগে এমভি আবদুল্লাহর গতিপথ পরিবর্তন করে সোমালিয়ার দিকে ঘুরিয়ে নেয় জলদস্যুরা।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা কয়লাবাহী জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় জলদস্যুদল। জাহাজটির মালিক কেএসআরএম।

এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহরুল করিম জাতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ‘জাহাজটি কোম্পানিকে দুপুর দেড়টার দিকে সবাই নিরাপদ আছে জানিয়ে একটি বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়।’
‘কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অনুসরণ করে জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছিল। কিন্তু সোমালি জলদস্যুরা তাদের নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে। দুইদিন আগে এমভি আবদুল্লাহর গতিপথ পরিবর্তন করে সোমালিয়ার দিকে ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য করে জলদস্যুরা,’ বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে মেহরুল করিম বলেন, জলদস্যুরা কোনো ধরনের মুক্তিপণের ব্যাপারে এখনো তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

এসআর শিপিং দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিপিং কোম্পানি। তারা সমুদ্রগামী বাণিজ্য জাহাজ পরিচালনা করে। ৪৫ হাজার ৬৫৩ ডেডওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ওজনের বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আবদুল্লাহর মোট দৈর্ঘ্য (এলওএ) ১৮৫ দশমিক ৭৪ মিটার এবং প্রস্থ ৩০ দশমিক ৪ মিটার।

এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি জাহান মনি জাহাজ ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। ভারতীয় উপকূল থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের লাক্ষা দ্বীপপুঞ্জ থেকে সুয়েজ খাল হয়ে সিঙ্গাপুর থেকে ইউরোপগামী জাহাজটি হামলার শিকার হয়। বিবিসি’র খবর অনুযায়ী, ১০০ দিন জিম্মি থাকার পর নাবিকেরা মুক্তি পান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।