বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিটি, ২০ দফা সুপারিশ

সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উল্লেখ করে কার কী দায় ছিল সে আলোকে দেশের অন্যান্য কন্টেইনার ডিপোগুলোকে নিরাপদ করতে ২০ দফা সুপারিশ করেছে কমিটি।

বুধবার (৬ জুলাই) বিকেলে ৫টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিটি।

ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তারকে সদস্য সচিব করে গঠন করা কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তদন্ত কমিটি এক মাস সময় নিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

এসময় কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন খান, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার ফারুক উল হক, পরিবেশ অধিদফতেরর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মফিদুল আলম, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের মেজর কাওসার, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক নিউটন দাশ, বিষ্ফোরক অধিদফতেরর তোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

তদন্ত কমিটি ডিপোর সিসি ক্যামরার কোনো ব্যাক আপ না পাওয়ায় অনেক কিছুরই উত্তর মিলেনি বলে জানানো হয়। পাঁচজন প্রতক্ষ্যদর্শীসহ মোট ২৪ জনকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কমিটি। সিআইডির ল্যাব, পরিবশে অধিদফতরের ল্যাব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে বিভিন্ন নমূনা পরীক্ষা করে তার ফলাফলের আলোকে কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করেছে।

বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিটি, ২০ দফা সুপারিশ 1

বিএম ডিপোর ঘটনা থেকে সতর্ক হয়ে অন্যান্য ডিপোর জন্য সুনির্দিষ্ট ২০টি সুপারিশ করা হয়েছে। এতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে একই প্ল্যাটফর্মে আনারও সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ কন্টেইনার ডিপোর অনুমোদ, পরিচালনা এবং তদারকিতে ২৫টি সংস্থার ভূমিকা রয়েছে। সংস্থাগুলোর কাজের সমন্বয় ঘটলে ভবিষ্যতে অনাকাঙিক্ষত দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে বলে উল্লেখ করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন বিষয় জানতে চাইলে বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সরকারের সর্বোচ্চ মহল অবগত। তদন্ত প্রতিবেদন আমরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জমা দেবো। স্থানীয়ভাবে আমি কিছু বলার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন রাতে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৬ জুলাই সকালেও এক ব্যক্তির পাঁজরের হাড় ও মাথার খুলি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ৫১ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হলো বিএম ডিপো থেকে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।