বিশ্বসেরার তালিকায় ইডিইউর ১১ গবেষক

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই হলো গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা। গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মৌলিক জ্ঞান ও তত্ত্বের বিকাশ ঘটাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এমনটাই থাকে প্রত্যাশা।

এক্ষেত্রে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের গবেষণা অঙ্গনে রাখছে আশানুরূপ ভূমিকা। এর প্রতিফলন পাওয়া গেছে সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‌্যাংকিং-২০২২ এ বিশ্বমানের গবেষকদের তালিকায়। এতে ইডিইউর দুই ডিনসহ স্থান পেয়েছেন ১১জন।

স্কুল অব বিজনেস থেকে এ তালিকায় রয়েছেন অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. রাশেদ আল করিম, ড. হাসান শাকিল; স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে রয়েছেন অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিন, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. ইসতিয়াক আজিজ, অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর ড. সালাউদ্দিন রাসেল, ড. গোলাম মোক্তাদির দাইয়ান, লিংকন চৌধুরী, সোহরাব হোসেন; এছাড়াও আছেন ফরহাদ হোসেন ও প্রাপ্ত চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) তালিকায় স্থান পাওয়া এ গবেষকবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এসময় উপাচার্য তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রধান করণীয় হলো গবেষণা ও নতুন গবেষকদের তৈরি করা। ইডিইউর সিনিয়র শিক্ষকরা এ দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন। গবেষণার চর্চা বেগবান করতে ইডিইউ কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা ও সহযোগিতা অতুলনীয়।

ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান তাদের সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এ অর্জন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইডিইউর সুনামকে আরো সমুন্নত করেছে। পাশাপাশি অন্যান্য ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আরো মনোনিবেশে অনুপ্রাণিত করবে। ইডিইউ গবেষণা ও গবেষকদের মানোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্বসেরা নানা জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ এবং স্বনামধন্য গবেষকদের কাছ থেকে প্রশিক্ষক ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগও তৈরি করেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১২ ক্যাটাগরিতে গবেষকদের এই নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার বাংলাদেশের ২ হাজার ৭৭১ জন গবেষক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। গুগল স্কলারের রিসার্চ, বিগত পাঁচ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স ও সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে এই র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে ওয়েবসাইটে।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।