যুবলীগ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দাঁতমারায় যুবলীগ নেতাকর্মীসহ এলাকার নিরপরাধ লোকজনের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের ও মানহানিকর অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে যুবলীগ ও স্থানীয় গ্রামবাসি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের হোসইন্যারখীল ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রাম সর্দার মুসলিম উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা জাকিরসহ তাঁদের সকলের পরিবার বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। রাজনীতির পাশাপাশি তারা সবাই নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত। গ্রামের অন্যরাও দলের সকল আন্দোলন সংগ্রামসহ দলীয় কর্মকাণ্ডে মাঠে সরব রয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর হোসইন্যারখীল গ্রামে জনৈক এক খামারির ১০টি গরু চুরির ঘটনায় খামারি এবং তার ছেলে ইউছুফ পুর্ব শত্রুতার জের ধরে জাকিরসহ যুবলীগ নেতা কর্মীদের জড়িয়ে নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। গরু চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু ইউছুফ বিভিন্ন দিকে নানাভাবে জাকির, সবুজ, জামাল, ইব্রাহিম ইবু ও কামরুলের নামে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে যা তাদের জন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে মানহানিকর।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমরাও চাই প্রকৃত গরু চুরির ঘটনা ঘটলে তা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা হউক। এমন ঘটনায় আমরাও এলাকাবাসি হিসেবে মর্মাহত। কিন্তু এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুর্ব শত্রুতায় নিরপরাধ দলীয় নেতাকর্মীদেরকে যাতে হয়রানি করা না হয়।

এসময় যুবলীগ সভাপতি জাকির বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ কুমিল্লা থেকে যে দুজনকে আটক করেছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা হউক। ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতির পাশাপাশি নিজস্ব পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে জড়িত। এছাড়া সবুজ,ইব্রাহিম ইবু,কামরুল ও জামালেরও কৃষি খামারসহ নিজস্ব আলাদা ব্যবসা রয়েছে।

তিনি বলেন, কথিত গরু চুরির ঘটনার সাথে আমাদের কারো কোনো ধরনের দুরতম সম্পর্ক নাই। এছাড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা এবং খামারের কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসবে।

বক্তারা এ ঘটনার নিরপেক্ষ সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান । কোন নিরীহ নিরপরাধ লোকজনকে যেন হয়রানি করা না হয়।

এসময় গ্রাম সর্দার মুসলিম উদ্দিন, মো. শফি, মো. হাসেম, বাসন আলী, সামশুল আলম, মো. জসিম, জামাল, সবুজ, ইব্রাহিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।