রক্ত কথা বলে

৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের ঈপ্সিত স্বাধীনতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত এ’ দেশটিকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন।

তাঁর নেতৃত্বের দৃঢ়তা, প্রত্যয় ও দেশের অগ্রযাত্রা দেখে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতাকারী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শত্রুরা নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। তারা পরিকল্পনা করতে থাকে কেমন করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামানো যায়। তাদের চিন্তায় আসে এ দেশের অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে হবে।
তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা তখন দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। ৭৫’র পর এ’ দেশটির উপড় দিয়ে ঝড়ঝঞ্ঝাও কম যায়নি।

খুনী মোসতাক – জিয়া-এরশাদ আবার কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তকমা লাগিয়ে দুই বছরের সেনা সমর্থিত সরকারের কবলেও পড়তে হয়েছিল এ দেশের জনগণকে। এ সময়েও আমরা নানাভাবে শোষিত হয়েছি, বঞ্চিত হতে হয়েছে আমাদের আপন ন্যায্য অধিকার থেকে। এ সময়ে শোষণ, নিপীড়ন, দুর্নীতি -এ মারাত্মকভাবে গ্রাস করেছিল আমাদের এ প্রিয় স্বদেশকে।

আবার কখনও হাওয়া ভবন নামীয় কোন এক সাহেবজাদার দরবারের দৌরাত্ম্যের রোষাণলে পড়ে এ দেশের অগ্রযাত্রা হোঁচট খেয়েছে অকল্পনীয়ভাবে। কারণ সবই নিয়ন্ত্রণ হতো তখন এ ভবন থেকেই।

এ সময়গুলোতে অনেক ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সেই স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবেই আমাদের পরিচয় থেকে যায়।

আপনি আপনার ছেলেকে পড়াতে মাস্টার দিলেন। মাস্টার যদি ভালোভাবে পড়াতে না পারে আপনার ছেলে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবে না। আপনার উদ্দেশ্যও সফল হবে না।জমি চাষ করতে দিলেন একজনকে। সে যদি কাজই না জানে জমি চাষ করবে কেমনে? আর ফসলের আশা সেতো গুঁড়েবালি।

অর্থাৎ অযোগ্য লোকের হাতে কোন দায়িত্ব পড়লে যেমন হয় আর কি! তেমনি ৭৫’র পর থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমাদের দেশ পরিচালনায় ছিল অযোগ্য, লোভী ও দুর্নীতিপরায়ণ শাসকগণ। তারা দেশ শাসনের নামে এ দেশের মানুষকে শোষণ করেছে অবিরাম। এ সময় আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল সরকার যন্ত্রের বেশিরভাগই ।

যার ফলে এ’ সময়টুকুতে প্রিয় স্বদেশ মোটেও এগোতে পারেনি।ছোট্ট একটি কথা। যার কাজ তারই সাজে। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসলো। তাতেও ষড়যন্ত্রের কমতি ছিল না।

নির্বাচনের আগে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস সেনাবাহিনী প্রধানকে বহিষ্কার করে বসলেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে শংকা ও ভীতির সঞ্চার হলো ভোট হবে কি হবে না। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় বিচক্ষণতার সাথে এ পরিস্থিতির মোকাবেলা করলেন।

অবশেষে নির্বাচন হলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলো। গণ মানুষের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ও সাধারণ মানুষের সে কি উচ্ছ্বাস। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ শাসন ক্ষমতায়! জননেত্রী শেখ হাসিনা নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করে শুরু করলেন নতুন বাংলাদেশের অভিযাত্রা। তিনি দায়িত্ব নিয়ে রীতিমতো বিস্মিত হয়ে গেলেন।

এ কোন বাংলাদেশ দেখছি আমি! এ কেমন বাংলাদেশ! নেই বিদ্যুৎ, নেই পুল- কালভার্ট, ব্রীজ কিছুর কিছুই নেই। স্কুল কলেজগুলো তখন যেন চিৎকার করে বলছিল আমাদের ভবন দাও, আমরা শিক্ষার্থীদের জায়গা দিতে পারছি না। রাস্তা-ঘাট বলতে তেমন কিছু নেই। এ যেন জরাজীর্ণ একটি গৃহকে নতুন অবয়ব দেয়ার দায়িত্ব নেয়া। প্রিয় নেত্রী ঘাবড়ালেন না। শেখের বেটিতো।

এ পাঁচ বছর তিনি দ্রব্যমূল্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখলেন। এ সময় দশ টাকা ছিল চালের কেজি। সয়াবিন তেলের কেজি ছিল ত্রিশ টাকা। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ালেন। স্কুল-কলেজ -মাদরাসায় নতুন ভবন দেয়া হলো। নতুন নতুন সড়ক উন্নয়ন, ব্রীজ নির্মাণ করা হলো। বয়স্ক ভাতার মতো মানবিক ব্যবস্থার চালু করা হলো। পাহাড়ের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করলেন শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নেরমাধ্যমে।

আল্লাহ্’র কি রহমত দেশে সর্বকালের সেরা দুর্যোগ ১৯৯৮’র বন্যা মোকাবেলা করলেন দৃঢ়তার সাথে। একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি এ মহাদুর্যোগে। পুরোবিশ্ব তখন বিস্মিত হয়েছিল কোন যাদুবলে শেখ হাসিনা এমন কঠিন বিপদকে জয় করতে পেরেছেন।

তাঁর এ শাসনকালে একটি প্রবাদ প্রায়শই মানুষ আউড়ে বেড়াত। মুজিবের ভাষণ, শেখ হাসিনার নির্বাচন। সে সময়কার ইউপি নির্বাচনের স্বচ্ছতা আর কঠোরতা দেখে লোকজন এ কথাগুলো সবসময় মাঠে-ঘাটে বলে বেড়াতেন। শেখ হাসিনার হাত ধরে এ যেন এক নতুন বাংলাদেশ পেলো এ দেশের জনগন। এ সময় কি গ্রামে কি শহরে দরজা খুলে ঘুমাত মানুষ। আমরা হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর শাসনামলের কথা শুনেছি । ১৯৯৬-২০০১ এর শাসনামলকে এর সাথে তুলনা করা যাবে না ঠিকই কিন্তু জনগণ এর পরশ খুঁজে পেয়ছিল এ সময়ে জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে।

জানি না বাংলাদেশের মানুষ এরূপ শাসনকাল আর দেখবে কিনা। ২০০১ এর নীল নকশার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে গেলো। এলো খালেদার নেতৃত্বে জোট সরকার। রাজাকার মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদকে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করে খালেদা জিয়া নিঃসংকোচে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন।

শুরু হলো অগ্রযাত্রার বদলে পিছিয়ে যাওয়ার। ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকেই শুরু হলো মানুষ হত্যার প্রতিযোগিতা। ছয় মাসের মাথায় শুধু মীরসরাইতেই ওরা ৩৫ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর লাশ ফেললো তারা। পাঁচ বছরের শাসনকালের প্রতিদিনই পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়তো দেশ জুড়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, ধর্ষণ, হত্যা,অগ্নিসংযোগের মতো মর্মন্তুদ খবর।

এ শাসনকাল যেন আইয়ামে জাহেলিয়াকেও হার মানিয়েছিল।উন্নয়ন বলতে কিছুইতো হয়নি এ সময় বরং খালেদার এক সাহেবজাদা হাওয়া ভবন নামে এক বিশাল দরবার খুলে বসলেন। মন্ত্রী,নেতা ও আমলাদের এখানে রীতিমতো হাজিরা দিতে হতো। শুধু তাই নয় হাওয়া ভরে তাদেরকে বিশাল আকারের বস্তাও নিয়ে যেতে হতো রাজপুত্রকে খুশী করার জন্য। হিসেবে গোলমাল হলে একগাদা বকুনি ও তিরস্কার জুটতো তাদের কপালে। কি আর করা বিমর্ষ চিত্তে, কৃষ্ণ বদনে তাদের ফিরে আসতে হতো আপন আলয়ে। তাদের করারও কিছু ছিল না,বলারও কিছু ছিল না। রাজপুত্র বলে কথা।

আসলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করলেন। আর বেঠারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকেই প্রথমে গ্রেফতার করলেন। ওদের কাজ ছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের। আর তেনারা শুরু করলেন নির্বাচিত সরকারের কাজ। এরা চুনো পুটি ধরবে না। রুই কাতলা ধরার নামে দেশ জুড়ে বরেণ্য নেতাদের গ্রেফতার শুরু করলো। মেয়ে দেখতে গিয়ে উকিলে বিয়ে করে ফেলার মতো ঘটনা আর কি। যাই হোক এক সময় নির্বাচন হলো।

এ দেশের সাধারণ মানুষের আস্থা শেখের মেয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় বারের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসলেন।শুরু হলো নতুন বাংলাদেশের অভিযাত্রা। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৮ এর নির্বাচনেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসলো আওয়ামী লীগ। ২০০৮ থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে অনেক দূর।

আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে আমরা আজ ৩য়, সবজি উৎপাদনে ৩য়, আম উৎপাদনে অষ্টম, ইলিশ উৎপাদনে ১ম। এ জন্য বলছিলাম যার কাজ তারেই সাজে। বর্তমানে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের ভাতা, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ( জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা)এ যেন এক বিস্ময়।

বিদেশে কর্মরত আমাদের একজন ভাই মারা গেলে সরকার ওয়েজ আর্নার থেকে তার পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করে। এয়ারপোর্টে মরদেহ আসলে দাফনের জন্য সেখানেই পরিবারকে ত্রিশ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। এমন মানবিক সিদ্ধান্ত সত্যিই অভাবনীয়।

আমাদের মাথাপিছু আয়ে অনেক দেশ রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনাই দেশে ২য় বারের মতো তেইশ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছেন। প্রথমবার করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে। বাপের পরে মেয়ে মমতাময়ী শেখ হাসিনা এ অসাধ্য সাধন করলেন। এমন কাজ করতে সাহস লাগে, বুকের পাটা লাগে। বাপকা বেটি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশ ঈর্ষণীয়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে উদ্বোধন হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আগামী ডিসেম্বরেই ঢাকার মেট্রো রেল, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল এর শুভযাত্রার শুভক্ষণ দেখবে এ দেশের মানুষ। মহেষখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, কক্সবাজারে মাতার বাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ইশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ার, এলএনজি টার্মিনাল, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এসবই আমাদের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বারতা দিচ্ছে।

আজ আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। উন্নয়নশীল দেশের সারিতে। উন্নত বাংলাদেশ এখন আমাদের জন্য স্বপ্ন নয় মহান আল্লাহর কৃপায় আমরা সে সড়কে প্রবেশ করে গেছি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন eft’র মাধ্যমে তাদের বেতন ভাতা গ্রহণ করছে। এমআরপি’র পর এখন আমরা e পাসপোর্ট পাচ্ছি। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে পুরো ব্রহ্মাণ্ড এখন আমাদের হাতের মুঠোয়।

মহাকাশে আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। সকল মন্ত্রণালয়ের সেবা বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় এসেছে। সকল উন্নয়নমূলক সংস্থায় বা অধিদপ্তরে e টেন্ডার কার্যক্রম চালু হয়েছে। যার ফলে টেন্ডারবাজি এখন নেই বললেই চলে। করোনা মহামারিতে করোনা ভ্যাকসিন এর জন্য আমরা ঘরে বসেই রেজিস্ট্রেশন করেছি। দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণ একশ’টিরও বেশী সেবা পাচ্ছে।

এতসব কিছুর পেছনে একজনের নিরন্তর প্রচেষ্টা। তিনি নেপথ্যে থেকে আমাদের সকল সেবাকে ডিজিটালাইজেশন করেছেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্যপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। সাবাস সজীব ওয়াজেদ জয়। যোগ্য মায়ের যোগ্য সন্তান।

আমরা দেখেছি কারো সন্তান এ দেশে হাওয়া ভবন বানিয়ে এ হাওয়া ভবনকে দুর্বৃত্তায়নের আখড়া বানিয়েছে। আর আমাদের প্রিয় জয় অন্তরালে থেকে বিরামহীন সাধনায় বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন। বিশ্বাঙ্গনে আমাদের মর্যাদাকে করেছে সমুজ্জ্বল।

বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনা-জয় একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা আমাদের বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল ও নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছে দিয়েছেন। আমাদের সুখ-শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

এখন প্রত্যাশা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহস আর প্রেরণা নিয়ে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। বঙ্গবন্ধুর রক্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার ধমনীতে আর শেখ হাসিনার রক্ত জয়ের ধমনীতে। বঙ্গবন্ধু জীবদ্দশায় বলেছিলেন “দেশ থেকে সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার ও শোষণ উচ্ছেদ করার জন্য দরকার হলে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করবো”। তাই হলো। তিনি শত্রুদের হাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন।

বঙ্গবন্ধুর সেই ইচ্ছাগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একে একে পূরণ করছেন। নিভৃতে সাহস যোগাচ্ছেন যোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়।আপনি যদি ভালো মানুষ হন আপনার সন্তানও আপনার সংস্পর্শে থেকে ভালো কাজ করবে। কারণ তার শিরায় আপনারই রক্ত। যেটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয় এর সাধনেই প্রমাণিত হলো। সত্যিই রক্ত কথা বলে।

লেখক- দপ্তর সম্পাদক, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।