রাউজানে খুন করে নগরে আত্মগোপন, খুঁজের বের করলো র‌্যাব

রাউজানে ২০১৬ সালে খুন করে আত্মগোপনে থাকা ডাকাত তৈয়বকে আটক করেছে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব। খুনের আগে আরও একটি অস্ত্র মামলায় প্রায় ১১ বছর পলাত তৈয়ব।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূরুল আবছার। তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় তৈয়বকে বাকলিয়া থেকে আটক করা হয়েছে। উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে তৈয়ব ২০১৬ সালে রাউজানে খুন হওয়া হারুন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

তৈয়বের বিরুদ্ধে একই থানায় আরও একটি অস্ত্র মামলা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত তৈয়ব ১১ বছর পুলিশের খাতায় পলাতক। আমরা তাকে রাউজান থানায় হস্তান্তর করেছি।

১৬ অক্টোবর ২০১৬ জায়গার বিরোধে রাউজান থানার নোয়াপাড়া এলাকায় হাকিম চৌকিদার বাড়ির মো. হারুন নামের এক ব্যক্তিকে তৈয়বসহ সাত-আট জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা আয়েশা বেগম বাদী হয়ে রাউজান থানায় ৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তৈয়ব সেই মামলার আসামি।

মূলত একই মামলার আসামি জানে আলম গত ২৩ মার্চ র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর তৈয়বের বিষয়টি আবার সামনে আসে। তৈয়ব রাউজানের নোয়াপাড়ার মৃত আব্দুল হক বদনীর ছেলে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।