শিশু আয়াতকে হত্যার পর ৬ টুকরো করে মরদেহ পানিতে ফেলে দেয় খুনী আবির

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা এলাকা থেকে ১০ দিন আগে নিখোঁজ ৫ বছর বয়সী শিশু আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরো করে সাগরে ফেলে দেয় খুনি। পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইয়ের একটি টিম হত্যায় জড়িত আবির নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আয়াতের লাশ ছয় টুকরো করার কথা স্বীকার করেছে আবির।

গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা। ইপিজিড থানার পাশাপাশি তদন্তে নামে পিবিআই।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোতে সদ্য যোগদান করা পরিদর্শক মর্জিনা আক্তারের নেতৃত্বে একটি টিম আবিরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই সূত্রে আয়াত হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে বলে জানান পিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা।

পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ হওয়া এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় আবিরকে শনাক্ত করা হয়। তারপর তাকে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে আবির জানায় মুক্তিপনের জন্য আয়াতকে অপহরণ করেছিল। আয়াত চিৎকার দেওয়ায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ ছয় টুকরো করে পানিতে ফেলে দেয়।

ইতোমধ্যে আয়াতের পরিদেয় জামা-জুতো এবং তার হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চলছে।

পেশায় পোশাক কারাখানার শ্রমিক আবির এক সময় আয়াতের দাদার বাড়িতে ভাড়া থাকতো । ১৯ বছর বয়সী এ যুবক বর্তমানে ওই এলাকার আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।