৪র্থ শিল্প বিপ্লবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সিডিএ’র কর্মশালা

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২১-২০২২ এর আওতায় ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবন কর্ম পরিকল্পনার আলোকে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় কর্মশালা সিডিএ’র সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালায় ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত কার্যক্রমের বাস্তবায়ন জোরদারকরণে উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়ন, সেবা সহজিকরণ, সেবা ডিজিটাইজেশন, ই-নথির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি সহ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।

প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ,মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)’র কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম এবং সিডিএর সিস্টেম অন্যালিস্ট মোঃ মোস্তফা জামাল, উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ আবু ঈসা আনছারী।

৪র্থ শিল্প বিপ্লবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সিডিএ'র কর্মশালা 1

সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পেতে আমরা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছি। শীঘ্রই সিডিএ’র সকল কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন হবে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মুখ্য আলোচক অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন- সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন সময়োপযোগী নীতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে,যদি প্রযুক্তি সহজলভ্য এবং সহজে হস্তান্তরযোগ্য হয়, তাহলে সেটা সম্ভব হবে।

ইতোমধ্যে শিল্প বিপ্লবের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি । তা লক্ষ্য রেখে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এখন বাংলাদেশ ‘উদ্ভাবনী বাংলাদেশ’-এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং উন্নত,সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এ.আই), রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অফ থিংস, কোয়ান্টাম গণনা, মাইক্রো এবং ন্যানোপ্রযুক্তি, ব্লকচেইন প্রযুক্তি, থ্রিডি প্রিন্টিং, বিগ ডাটা, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ক্লাউড কম্পিউটিং, রোবোটিক্সসহ প্রযুক্তির উপকারি সকলদিক সফল ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয়ের উপর জোর দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন- সরকার রুপকল্প ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মধ্যম আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন সময়োপযোগী নীতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ।

কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।