৭ বউয়ের কাতারি জামাই, ১ বউ চট্টগ্রামের মেয়ে

পরিচয় গোপন রেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে বিয়ে করতো শাকিল মাহমুদ আজাদ (২৯)। এভাবে একে একে করেছেন সাতটি বিয়ে। প্রতিটি শ্বশুর বাড়ির এলাকায় ভালো মানুষ সেজে কাতারে ও হজ্বে লোকজন পাঠানোর নামে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এরপর মিলতো না তার হদিস, প্রতারিতদের রোষানলে পড়তেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) এই প্রতারককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

মেজর সাকিব জানান, শাকিল মাহমুদ আজাদ পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন জেলায় মোট সাতটি বিয়ে করেছেন। বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জের কচুবুনিয়া গ্রামে করেছেন ৫ম বিয়ে। তার ৫ম স্ত্রী ইতিমনি ও প্রতারিতদের অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাবের টিম মঙ্গলবার গভীর রাতে আজাদকে কুমিল্লা নগরীর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রতারক শাকিল কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার অশ্বদিয়া গ্রামের আবু হানিফের ছেলে।

তিনি আরও জানান, বিয়ে প্রতারক শাকিল মাহমুদ আজাদ পরিচয় গোপন রেখে খুলনা, রাজশাহী, নীলফামারী, ফরিদপুর, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাসহ সাতটি জেলায় দরিদ্র পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করে ৭টি বিয়ে করেন।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক আজাদ চট্টগ্রামেও একটি বিয়ে করার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান মেজর সাকিব। প্রতারক আজাদ চট্টগ্রামে বেলা বিস্কুটসহ বেকারি পন্য বিক্রি করতেন।

প্রতারিতদের মাঝে আজাদের ৫ম স্ত্রী ইতিমনি (২০) সাংবাদিকদের জানান, প্রতারক আজাদ ১ বছর ৮ মাস আগে তাকে বিয়ে করেন। পরে ইতিমনির চাচা স্থানীয় মসজিদের ইমাম জাহাঙ্গীর আলমকে হজ্বে নেয়ার কথা বলে শাকিল ২ লাখ টাকা এবং এলাকার আরও ১১ জনের কাছ থেকে কাতারে পাঠানোর নামে মোট ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে একপর্যায়ে উধাও হয়ে যান। পরে প্রতারিতরা তাদের নামে আদালতে মামলা দায়ের করলে তারা এলাকা ছেড়ে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করেন।

বরুড়া থানায় মামলা দায়ের করে শাকিল মাহমুদ আজাদকে পুলিশের কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে বলে জানান মেজর সাকিব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।