কাপ্তাই লাম্বার প্রসেসিং কমপ্লেক্স পরিদর্শনে বনশিল্প উন্নয়ন চেয়ারম্যান

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের লাম্বার প্রসেসিং কমপ্লেক্স(এলপিসি) পরিদর্শন করেছেন বিএফআইডিসি’র চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ। তিনি শনিবার (১৫ জুলাই) লাম্বার প্রসেসিং কমপ্লেক্স-এলপিসি’র কাপ্তাই ইউনিট পরিদর্শনে আসেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএফআইডিসি সদর দপ্তরের মহাব্যবস্থাপক (রাবার) মো. ফারুক হোসেন, বিএফআইডিসি, এলপিসি কাপ্তাই ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক তীর্থ জিৎ রায়, মহাব্যবস্থাপক (রাবার) চট্টগ্রাম জোন এ এ এম শাহজাহান সরদার, এলপিসি’র সহ-ব্যবস্থাপক (মাঠ) শফিকুল ইসলাম, সহ-ব্যবস্থাপক (হিসাব) বিলাস কুমার বিশ্বাস, এলপিসি সিবিএ সভাপতি মো. ইউসুফ, সাধারন সম্পাদক আহমদ আলী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ জুয়েল।

বিএফআইডিসি’র চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ এলপিসি কাপ্তাই ইউনিটের করাতকল, বয়লার, লেকার পলিশিং চেম্বারসহ সমগ্র কারখানা ঘুরে দেখেন এবং
এলপিসি কর্তৃক তৈরিকৃত ফার্নিচার এবং ফার্নিচার উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেন। এছাড়াও তিনি নতুন স্থাপনকৃত সিএনসি মেশিনের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি এলপিসি’র সকল কর্মকর্তা এবং শ্রমিক কর্মচারীর সাথে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

বিএফআইডিসি’র চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ সভায় বলেন, “গত অর্থ বছরে এলপিসি ২ কোটি ২০ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। এর আগের দুই বছরও টানা এলপিসি মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই মুনাফা অর্জনের পরিমান আরো বাড়াতে হবে।” মুনাফা বৃদ্ধি করার জন্য কী পদক্ষেপ নিতে হবে, কী কী মেশিন কিনতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে সদর দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানোর জন্য তিনি এলপিসি’র মহাব্যস্থাপককে নির্দেশনা দেন। তিনি আরো বলেন, “বিশাল এলাকা নিয়ে এলপিসি প্রতিষ্ঠিত। পুরো এলাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।” এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে এলপিসিকে পর্যটন শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।