শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) পৌনে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নাম্বার গেইট এলাকায় অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদের পাশাপাশি কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানান।

সরজমিনে দেখা গেছে, অবরোধ চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে চারদিক মুখরিত করে রাখেন। ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, আমার বোনের রক্ত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ব্লকেড ব্লকেড, বাংলা ব্লকেড’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার”, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আজকে এক নাম্বার গেইটে শিক্ষার্থীদের কোনো কর্মসূচি ছিল না৷ আমাদের কর্মসূচি ছিল শহরে। কিন্তু শহরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালম করার সময় অন্যায়ভাবে পুলিশ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা করেছে। আমরা এর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করেছি।

এর আগে, নগরীর টাইগারপাস এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এ সময় পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে চাইলে এক পর্যায়ে পৌনে ৫টার দিকে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাটিচার্জ করে এবং শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের লাঠিচার্জে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের চড়াও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।