ডিভোর্সের পরও শেষ হয়নি নির্যাতনের অধ্যায়। সাবেক স্বামী আবদুল গণির অত্যাচারে আজও দিন কাটছে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ৩ নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুর এলাকার জনপ্রতিনিধি জোবাইদা আক্তার মিতু ও তার একমাত্র মেয়ে ইসরাত জাহানের।
মিতু অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। সংসারে শান্তি ছিল না একদিনও। একমাত্র মেয়ের ভরণপোষণ দিত না। ২০২১ সালে বাধ্য হয়ে আমি তাকে ডিভোর্স দিই। কিন্তু আজও সে আমাদের শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না।
মিতুর মেয়ে ইসরাত জাহান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাবাকে দেখেছি মাকে মারধর করতে। বিদেশে থেকেও ফোনে বকাঝকা করত। আমার পড়াশোনার খরচ দিত না। এমনকি আমার বিয়েতেও কোনো সাহায্য করেনি। বরং মা ধার দেনা করে বিয়ের খরচ চালিয়েছেন। এখন সেই পাষণ্ড বাবা আমাদের নানার দেওয়া বাড়িটাও দখল করতে চাইছে।
ইসরাতের অভিযোগ, তাদের সাবেক বাবা আবদুল গণি প্রায় প্রতিদিন লোকজন নিয়ে এসে তাদের বাড়ি দখলের চেষ্টা করেন। মা-মেয়েকে হুমকি দেন, মারধরেরও চেষ্টা করেন।
মিতু বলেন, আমি এখন জনপ্রতিনিধি। প্রতিদিন আমার ডিভোর্স হওয়া স্বামী এসে গালাগালি, ঝগড়া করে মানহানি করছে। আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতেও এসব নিয়ে কথা উঠছে। আমি আর শান্তিতে থাকতে পারছি না। তার বিচার চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মিতু মৃত কুদ্দুস মেম্বারের মেয়ে। তার সাবেক স্বামী আবদুল গণি ভোলার বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন মিতুর বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। বর্তমানে কুদ্দুস মেম্বারের মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আবদুল গণি।
মিতু ও তার মেয়ের দাবি, ডিভোর্সের পরও সাবেক স্বামীর অত্যাচার থেকে মুক্তি চায় তারা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে যেন মা-মেয়ে নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারেন, সেই দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীও।



মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।