আশিককে জিজ্ঞাসাবাদে ৩ দিন সময় পেলো পুলিশ

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামেকে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ( ৪ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজীনের আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন জানান, ঢাকা থেকে গতকাল সোমবার আশিককে কক্সবাজার আনা হলে তাকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম আমরা। মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর মাদারীপুর থেকে অভিযুক্ত আশিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আশিকের বিরুদ্ধে কক্সবাজারে নারী নির্যাতন, ইয়াবা ও অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আশিকের গ্রেপ্তারের পর জানিয়েছিলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর টর্নেডো আশিক দাড়ি-গোফ কেটে চেহারা বদলে কক্সবাজার ছাড়েন। ঘটনার পর পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ হওয়ায় আশিক দাড়ি-গোফ কেটে, ভ্রু প্লাক করে কক্সবাজার থেকে এসি বাসে প্রথমে ঢাকায় আসে। পরে আরেকটি বাসে মাদারীপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। সেখান থেকে কুয়াকাটায় গিয়ে আত্মগোপনের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে কুয়াকাটা যাওয়ার চেষ্টাকালে রোববার রাতে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আশিক তরুণীকে ধর্ষণ ও তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়ার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান খন্দকার আল মঈন।

গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ও হত্যার হুমকি দিয়ে ২৫ বছর বয়সী এক নারী পর্যটককে তুলে নিয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়। গভীর রাতে খবর পেয়ে কক্সবাজারে শহরের জিয়া গেস্ট ইন থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।