চট্টগ্রামে আসতে শুরু করেছে বাইরের গরু

আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দেশের উত্তর অঞ্চলের জেলাগুলো থেকে চট্টগ্রামে আসতে শুরু করেছে গরুভর্তি ট্রাক।

বুধবার (২৯ জুন) সকালে চট্টগ্রামের সাগরিকা, বিবিরহাট, মইজ্যারটেক সিডিএ মাঠসহ অন্যান্য বাজারে এই দৃশ্য দেখা যায়।

ইজারাদাররা বলছেন, শুক্রবারের মধ্যেই উত্তরবঙ্গ থেকে আনা গরু-মহিষে ভরে যাবে চট্টগ্রামের বাজারগুলো। জিলহজ মাস শুরু হলেই ক্রেতা-বিক্রেতার আনোগোনায় জমে উঠবে এই পশুর হাট।

চট্টগ্রামে এবারও কুরবানীর পশুর সংকট হবে না। প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৩০ হাজার গরু কম রয়েছে চট্টগ্রামে। উত্তর বঙ্গের গরু আসা শুরু করায় সেই সংকটও থাকছে না।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে এবার আনুমানিক নয় লাখ ২১ হাজার গরু কুরবানী হবে। তন্মধ্যে আট লাখ ৯০ হাজার গরু চট্টগ্রামে প্রস্তুত আছে। দেশে মোট কুরবানীর উপযুক্ত পশু চাহিদার চেয়ে নয় লাখ বেশী আছে। সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরও বলেন, দেশের চাহিদা ১ কোটি ২১ লাখ। কুরবান হবে ১ কোটি ১২ লাখ। এই আট লাখ সারা দেশের নানা প্রান্তে চলে যাবে। শুধু চট্টগ্রাম তো নয়ই, দেশেও কুরবানীর পশু সংকট হবে না।

একটা সময় বড় গুরুর জন্য চট্টগ্রামের মানুষ উত্তর অঞ্চলের গরু খামারী কিংবা ঢাকার খামারিদের দিকে তাকিয়ে থাকতো। সেই দিনের অবসানও হয়েছে। চট্টগ্রামের খামারগুলোতে বড় গরু লালন-পালন হচ্ছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে ৩২টি খামারের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছিল গরুর ফ্যাশন শো। ওই শোতে নজরকাড়া অনেক গরু নিয়ে হাজির হয়েছিলেন খামারিরা।

চট্টগ্রামের গরুর অন্যতম বড় খামার এশিয়ান গ্রুপের এশিয়ান এগ্রো। এর কর্ণধার ও এশিয়ান গ্রুপের পরিচালক ওয়াসিফ আহমেদ সালাম চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, চট্টগ্রামে লালন-পালন হওয়া গরু দেশের সব খামারের উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সুষম খাবারের মাধ্যমে আমরা নিরাপদ মাংস উৎপাদনে খামার করেছি। আমাদের খামারের গরু গ্রাহকদের নজর কেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও যথেষ্ট গরু আমাদের খামারে আছে। আশাকরি চট্টগ্রামে গরুর তেমন কোনো সংকট হবে না। এবার আমাদের খামারে সবচে বড় গরুর ওজন ১১শ কেজি। এটিসহ তার কাছাকাছি ওজনের আরও গরু রয়েছে। গ্রাহদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে এশিয়ান এগ্রো।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।