চাকুরি ছেড়ে সমন্বিত চাষের উদ্যোগে সফল অভি

ছিলেন এনজিও কর্মী। বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক এবং খামারিদের। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে নিজে গড়ে তুলেছেন সমন্বিত খামার। মাত্র ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে আজকে যার প্রতি প্রায় ১০ লাখ টাকা। ৪৫ হাজার টাকা বেতনে তিনজন কর্মচারীও রেখেছেন তিনি। সমন্বিত চাষ করে বর্তমান সফল একজন উদ্যেক্তা হয়ে উঠেছেন অভি।

অভির বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। পূর্বের কর্মস্থলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মুরগির খামার, মাছের প্রোজেক্ট, ডেইরি খামার এবং চাষকৃত পুকুরের পাড়ে লেবু, কলা গাছ রোপন করে আয় করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। বর্তমানে তার প্রোজেক্টে রয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার মুরগি, ৬টি গরু ছাগল ৬টি, ৩৫০টি কলাগাছ, ১২০টি লেবু গাছসহ চারটি পুকুরে বিভিন্ন প্রকারের মাছ।

এই প্রোজেক্ট থেকে অভির প্রতি মাসে প্রায় লাখ টাকা উপার্জন করছেন। মাঝে মধ্যে লাখ টাকার বেশীও হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরপাড়ে রোপণকৃত কলা-লেবু গাছে বিপুলসংখ্যক ফলন হয়েছে। তার মুরগির খামারে ইতোমধ্যে বাচ্চা এবং দেড় থেকে দুই কেজি ওজনসহ দেশি, ব্রয়লার ও বিভিন্ন ধরনের মুরগি রয়েছে। গরু এবং ছাগলের খামার পরীক্ষামূলকভাবে তিনি শুরু করেছেন। চাষকৃত পুকুরে তিনি হালদার পোনাসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় মাছ ফেলেছেন। যেগুলো কিছুদিনের মধ্যেই বিক্রয় উপযোগী হবে।

চাকুরি ছেড়ে সমন্বিত চাষের উদ্যোগে সফল অভি 1

সমন্বিত খামার বিষয়ে জানতে চাইলে অভি চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, নিজে কিছু করার ইচ্ছে থেকেই এমন উদ্যোগ। একজন বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় এবং আমার বিগত কর্মস্থলের অভিজ্ঞতায় পাশাপাশি হাটহাজারী উপজেলা কৃষি অফিস ও হাটহাজারী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহায়তায় এই সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি সামনে আরও ভালো কিছু করতে পারব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।