বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ফুলতলীতে স্থল মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি এক যুবকের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তির নাম মো. তরিকুল (১৭)। তিনি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার কাউয়ার কূপ ইউনিয়নের মৈষকুম এলাকার আহাম্মদ রশিদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নং ফুলতলী সীমান্ত পিলার ৪৮ এর নোমেন্স ল্যান্ড এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চোরাই গরু আনতে গেলে স্থল মাইন বিস্ফোরণে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গুরুতর আহত হন তরিকুল। বিস্ফোরণে তার বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। আহত তরিকুলকে বর্তমানে কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “ফুলতলী সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তি কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ার কূপ ইউনিয়নের মৈষকুম এলাকার বলে জানা গেছে। আহত ব্যক্তির পা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শামশুল আলম জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১২টার দিকে সীমান্ত ফুলতলীর এলাকার ১১ বিজিবির আওতাধীন বিওপি ৪৮ পিলারের নোমেন্স ল্যান্ডের অভ্যন্তরে একটি প্রকট শব্দ শোনা যায়। তখন এলাকার লোকজন দেখতে পান মাইন বিস্ফোরণে এক যুবক গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। পরে স্থানীয়রা আহত যুবককে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারা উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের দিকে নিয়ে যাওয়া পরামর্শ দেন।”
আরও জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের চাকঢালা, আশারতলী, ফুলতলী, আমতলী, কম্বনিয়া, জামছড়ির কয়েকটা অরক্ষিত পয়েন্টে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে শত শত চোরাই গরু নিয়ে আসছে কয়েকটি সিন্ডিকেটের সদস্যরা। গরু আনতে গিয়েই মূলত এই ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে।
এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী ও দৌছড়ি ইউনিয়নের সীমান্তে পৃথক ঘটনায় তিনটি মাইন বিস্ফোরণে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।