ভাসানচর পৌঁছাল আরও ১৫৩৫ রোহিঙ্গা

কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও এক হাজার ৫৩৫ জন রোহিঙ্গা। এনিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ হাজার ১১৬ জনে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেন ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, এক হাজার ৫৩৫ জন রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হেলিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে সেখান থেকে গাড়িতে করে ৭৩, ৭৪ ও ৮৬ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য নেওয়া হয়েছে তাদের।

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় তিন হাজর ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন, নবম দফায় ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন, দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি এক হাজার ২৮৭ জন, একাদশ দফায় এক হাজার ৬৫৫ জন, দ্বাদশ দফায় দুই ৯৮২ জন ও ত্রয়োদশ দফায় প্রথম অংশে এক হাজার ৯৯৭ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।

এছাড়া গত বছর মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।